সুরা ইনফিতার

শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
করুণা-পাথার যিনি দয়া-পারাবার।

আসমান সবে বিদীর্ণ হবে
খসিয়া পড়িবে তারকা সব,
সমাধি-পুঞ্জ হবে উন্মুক্ত
উচ্ছ্বসিত হবে অর্ণব,
তখন জানিবে প্রত্যেক লোকে
জীবনে করেছে কী সঞ্চয়,
রাখিয়া এসেছে পশ্চাতে কীবা!
হে মানব! তবে সে কৃপাময়
প্রভু হতে রাখে বঞ্চিত করে
তোমার কীসে? যে প্রভু তোমার
সৃজিয়া তা’পর সাজাল কেমন
কৌশলে যেথা যাহা মানায়।
যুক্ত তোমায় করেছেন তিনি
যে আকারে তাঁর ইচ্ছা হয়,
মিথ্যা বল যে কর্মফলেরে
নহে নহে তাহা কখনো নয়।
নিয়োজিত আছে রক্ষীবৃন্দ
নিশ্চয় তোমাদিগের ‘পর,
যাহা কিছু কর, মহান হিসাব-
লেখকদের তা হয় গোচর।
রবে নিশ্চয় পরমাহলাদে
পুণ্যবান সৎকর্মীরা,
নিশ্চয় যাবে দোজখে সে যত
দুঃশীল কু-ব্যক্তিরা।
করিবে প্রবেশ রোজ কিয়ামতে
সে দোজখে তারা। পশি সেথা
লুকাতে পলাতে পারিবে না আর,
তাহা কী জানাল তোমাকে তা?
জিজ্ঞাসা করি আবার তোমারে
কিয়ামত কী তা জান কি সে?
ইহা সেই শেষ-বিচার দিবস,
যে-দিন মানব-মানবী সে
কেহই কারুর উপকারে কোনো
আসিবে না, হবে নিঃসহায়,
একমাত্র সে আল্লাতালার
হুকুম সেদিন রবে সেথায়।


সুরা ইনফিতার

ইনফিতার- বিস্ফোরণ, বিদারণ।

এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হয়। ইহাতে ১৯টি আয়াত, ৮০ টি শব্দ ও ৩৩৪টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল

কেয়ামতের ভীষণ অবস্থার বর্ণনা ও মানুষকে যে তাহার কর্মফল নিশ্চয়ই ভোগ করিতে হইবে তাহা এই সুরার প্রতিপাদ্য বিষয়।
পরজীবনে সুফল পাইবার জন্য মানুষ যেন সৎকর্ম করে আর কুকর্মের ফল পরজীবনে যন্ত্রণাদায়ক হইবে ভাবিয়া যেন (এ জীবনে) কুকর্ম হইতে বিরত থাকে-এই উদ্দেশ্যেই এই সুরা নাজেল হইয়াছে।