সুরা কদর

শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
আদি অন্তহীন যিনি দয়া করুণার।

করিয়াছি অবতীর্ণ কোরান পুণ্য ‘শবে কদরে’;
জানবে কীসে শবে কদর কয় কারে? ধরা পরে
হাজার মাসের চেয়েও বেশি কদর এই যে নিশীথের,
এই সে রাতে ফেরেশতা আর জিবরাইল আলমের
করতে সরঞ্জাম সকলই নেমে আসে ধরণী,
উষার উদয় তক থাকে এই শান্ত পূত রজনী।


সুরা কদর

কদর- সম্মান।
আলম- জগৎ।
শবে-কদর- মহিমময়ী রজনী।

এই সুরায় ৫টি আয়াত, ৩০টি শব্দ ও ১১৫টি অক্ষর আছে। ইহা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে।

কাশ্শাফ বায়জাবী, জালালাইন ও হোসেনীর মতে, এই সুরা মদিনা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে।

শানে-নজুল

কোনো কথাপ্রসঙ্গে একদা হজরত উল্লেখ করেন যে, ইসরায়েল বংশীয় হজরত সমউন সহস্র মাস কাল দিবস রোজা রাখিতেন ও জেহাদ (ধর্মযুদ্ধ) করিতেন আর রাত্রি জাগিয়া নামাজ পড়িতেন। ইহা শুনিয়া তাঁহার আসহাবগণ বলিল-সাধারণত আমরা ৬০/৭০ বৎসর বাঁচিয়া থাকি; তন্মধ্যে কতকাংশ শৈশবাবস্থায়, কতকাংশ নিদ্রিতাবস্থায়, কতকাংশ পীড়িত ও শৈথিল্যাবস্থায় এবং কতকাংশ জীবিকা সংগ্রহ করিতে অতিবাহিত হয়; অবশিষ্টাংশে আমরা কতটুকু সৎকার্য করিতে সক্ষম হইব? উহাতে হজরত (সাঃ) দুঃখিত হন। তখন এই সুরা নাজেল হয়।