সুরা তারেক

শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
করুণা-সাগর যিনি দয়ার পাথার।

শপথ ‘তারেক’ ও আকাশের
সে ‘তারেক’ কী তা জান কীসে?
নক্ষত্র সে জ্যোতিষ্মান
(নিশীথে আগত অতিথি সে)
এমন কোনো সে নাহি মানব
রক্ষক নাই উপর যার,
অতএব দেখা উচিত তার
কোন বস্তুতে সৃষ্টি তার।
বেগে বাহিরায় উছল জল-
বিন্দু তাতেই সৃজন তার
পিঠ ও বুকের মধ্য দেশ
সেই যে জল স্থান যাহার।
সক্ষম তিনি নিশ্চয়ই
করিতে পুনর্জীবন দান,
অভিব্যক্ত হবে সবার
গুপ্ত বিষয় হবে প্রমাণ,
রবে না শক্তি সহায় আর
সেদিন তাহার কোনো কিছুই,
শপথ নীরদ-ঘন নভের
শপথ বিদায়শীল এ-ভুঁই।
ইহাই চরম বাক্য ঠিক,
নিরর্থক এ নহে সে দেখ,
মতলব করে তাহারা এক
মতলব করি আমি ও এক
অবসর তুমি দাও হে তাই
বিধর্মীদের ক্ষণতরে
দাও অবকাশ তাহাদেরে।


সুরা তারেক

তারেক- নৈশ আগন্তুক।

এই সুরা মক্কা শরিফে নাজেল হয়। ইহাতে ১৭টি আয়াত, ৬১টি শব্দ ও ২৫৪টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল

একদা রাত্রিতে হজরতের গৃহে তাঁহার পিতৃব্য আবু তালেব উপস্থিত হইলে পর, তাঁহার সামনে আহারের নিমিত্ত রুটি ও দুগ্ধ হাজির করা হয়। তাঁহারা উভয়ে যখন খাদ্য গ্রহণে রত তখন একটি উল্কাপিণ্ডের জ্যোতিতে ওই গৃহ উদ্ভাসিত হইলে ওই জ্যোতিতে আবু তালেবের চোখের জ্যোতি ক্ষীণ হইয়া গেল। ব্যস্ততা-সহকারে ভোজন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন-ইহা কী? হজরত বলিলেন-শয়তানেরা যখন আশমানের গুপ্ত তত্ত্ব অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত উড্ডীয়মান হয়, তখন ফেরেশতারা উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ করিয়া উহাদিগকে বিতাড়িত করে। আবু তালেব বিস্ময়ান্বিত হইয়া নিস্তব্ধ হইলেন। তখন এই সুরা নাজেল হয়।