সুরা তীন

শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার,
করুণা ও কৃপা যাঁর অনন্ত অপার।

শপথ ‘তীন’ ‘জায়তুন’ ‘সিনাই’ পাহাড়
শপথ সে শান্তিপূর্ণ নগর মক্কার-
নিশ্চয় মানুষে আমি করেছি সৃজন
দিয়া যত কিছু শ্রেষ্ঠ মূরতি গঠন।
(যে জন সুবিধা এর লইল না তারে)
করিয়াছি নীচাদপি নীচ সে জনারে।
কিন্তু যে ঈমান আনে, সৎকাজ করে,
অনন্ত সে পুরষ্কার আছে তার তরে।
‘সুবিচার পাবে সবে’ বলিলে তোমায়
মিথ্যার আরোপ করে কে সে তবে, হায়?
আল্লাহ্ কি নন
সব বিচারক চেয়ে শ্রেষ্ঠতম জন?


সুরা তীন

তীন- হজরত ঈসা (আঃ) এর জন্মভূমি বয়তুল মোকাদ্দসে তীন জায়তুনের গাছ খুব বেশি বলিয়া উহাকে এই নামে আখ্যাত করা হইয়াছে।

সিনাই- এক পাহাড়ের নাম। এই পাহাড়ে হজরত মূসা (আঃ) গ্রন্থ প্রাপ্ত হন এবং খোদার জ্যোতি দর্শন করিয়া মূর্ছিত হইয়া পড়েন।

এই সুরা মক্কা শরিফে নাজেল হইয়াছে। ইহাতে ৮টি আয়াত, ৩৪টি শব্দ ও ১৬৫টি অক্ষর আছে।

শানে নজুল

১। তীন-আঞ্জির, জায়তুন-তৈল বৃক্ষ বিশেষ। উভয় নামে পরিচিত পর্বতে হজরত ইশার জন্ম ও নবুয়ত-প্রাপ্তি হয়।
২। সিনিনা-সিনাই পাহাড়; এ স্থানে হজরত মুসা ‘তওরত’ গ্রন্থ প্রাপ্ত হন।
৩। বালাদুন আমিন-‘শান্তিময় নগর’-এই বাক্যাংশ দ্বরা হজরত মোহাম্মদ মোস্তফার (দঃ) জন্মভূমি মক্কা নগরকে বুঝায়।
উক্ত তিনটি পাক স্থানের নামি উপরোক্ত নবিগণের স্মরণার্থ আল্লাহ্তালা শপথ করিয়া মানবগণকে এই সাবধান-বাণী জানাইতেছেন যে, তিনি আদেশ-প্রদাতাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ (আদেশ-প্রদাতা)।