গ্রন্থটির শুরুতে ছিল কবিতাকারে লেখা দুটি চরণ। কার উদ্দেশ্যে রচিত তার উল্লেখ নেই। ধারণা করা হয় এই চরণ দুটি ছিল শামাসুন নাহারের জন্য।
আলোর মতো জ্বলে ওঠো। ঊষার মতো ফোটো।
তিমির চিরে জ্যোতির মতো প্রকাশ হয়ে ওঠো।
তামাকুমণ্ডি।
চট্টগ্রাম ৩০-৭-২৬।
গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিল হবীবুল্লাহ বাহার ও শামসুন নাহারকে। উৎসর্গ পত্রে ছিল-
-আমার এই লেখাগুলি
বাহার ও নাহারকে দিলাম-
কে তোমাদের ভালো?
‘বাহার’ আনো গুল্শানে গুল্, ‘নাহার’ আনো আলো।
‘বাহার’ এলে মাটির রসে ভিজিয়ে সবুজ প্রাণ,
‘নাহার’ এলে রাত্রি চিরে জ্যোতির অভিযান।
তোমরা দু’টি ফুলের দুলাল, আলোর দুলালী,
একটি বোঁটায় ফুটলি এসে,- নয়ন ভুলালি।
নামে নাগাল পাইনে তোদের নাগাল পেল বাণী,
তোদের মাঝে আকাশ ধরা করছে কানাকানি!
তামাকুমণ্ডি।
চট্টগ্রাম ৩১-৭-২৬।