ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে ব’লো গো সেই হরিণিরে

ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে বোলো গো সেই হরিণীরে।
আর কতদিন দিশাহারা ঘুরব একা মরুর তীরে।।
মিষ্টি চিনির পসারিণীর হৃদয় কেন কষায় হেন,
এই চিনি-খোর তুতীর পানে কেন গো সে চায় না ফিরে।।
গোলাব লো! তোর রূপের গরব দেয় না বুঝি জিজ্ঞাসিতে,
প্রণয়-পাগল বুলবুলি তোর ভাসে কেন অশ্রু-নীরে।।
চতুর নিষাদ শিকার করে প্রণয়ীরে মুখের মিঠায়,
চপল পাখি ধরতে সে গো বিছায় না জাল আকাশ ঘিরে।।
বঁধুর পাশে ব’সে তোমার ঢাল্বে যেদিন রঙিন শারাব
স্মরণ করো রূপসি, এই উপোসে-মন দূর সাথিরে।।

শেয়্র্:-
সরল-তনু কাজল-আঁখি, চাঁদের মালা ললাট-কূলে-
রঙিন প্রেমের লাগল না রঙ কেন গো সে রূপের ফুলে।
তোমার রূপের চাঁদে, প্রিয়, এই শুধু কলঙ্ক-লেখা-
মধুর রূপের কাননে নাই বিধুর প্রেমের কুহু কেকা!

হাফেজী এই গজল যদি পৌঁছে আকাশ, নয় সে কিছু
গাইবে সে গান ‘জোহরা’ তারা, নাচবে ‘ঈশা’ সে সুর-মীড়ে।।

[পিলু- কাওয়ালি]