আর কতোকাল আমায় কাঁদাবি
ও রাই কিশোরী।
আমি তো তোমার অনুগত
চরণের ভিখারী।।
ও রাই তোমার জন্যে গোলোক ছেড়েছি
সকল ছাড়িয়ে মানবদেহ ধরেছি
আর কী বাকি আছেরে;
এ ভাব করিয়ে স্মরণ, তুমি দাও হে চরণ
আপাততঃ প্রাণ শীতল করি।।
বনে বনে ধেনু চরায় কেবা রাই
তোমার চন্দ্রবদন হেরিব মনে অন্য আশা নাই
ঐ রূপ জাগে যখন অন্তরে;
তখন উদাস মনে, ঘুরি বনে বনে
আবার মুগ্ধমনে বাজাই বাঁশরী।।
তোমার পদে সব সঁপেছি কী আর বাকি রেখেছি
নিজহাতে দাসখত লিখে দিয়েছি
তাইতে বলি তোমারে;
লালন ভণে ললিতা বিশাখা বিহনে
তুই তাঁরে পায় ধরালি প্যারী।
(কৃষ্ণলীলা)
বিশখা: কৃষ্ণের গোপী। বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে বৈশাখ মাসের নামকরণ হয়।