কী রূপ সাধনের বলে অধর ধরা যায়।
নিগূঢ় সন্ধান জেনে শুনে
সাধন করতে হয়।।
পঞ্চতত্ত সাধন করে
পেতো যদি সে চাঁদেরে
তবে বৈরাগীরা কেনে, আঁচলা শুধরি টানে
কুলের বাহির হয় তারা চরণ বাঞ্ছায়।।
বৈষ্ণবের সাধন ভালো
তাই বলিয়ে ভক্তি ছিল
ব্রহ্মজ্ঞানী যাঁরা, সদাই ভাবে তাঁরা
শাক্ত বৈষ্ণবের নাই স্বয়ং পরিচয়।।
শুনে ব্রহ্মজ্ঞানীর বাক্য
দরবেশে করে ঐক্য
বস্তুজ্ঞান যাঁর নাই, নামব্রহ্ম কী পাই
লালন বলে দরবেশ এ কী কথা কয়।।
(সাধকদেশ)
বৈষব: বিষ্ণু অবতাঁরের ভক্ত-পুজারী।
ব্রহ্মজ্ঞানী: দেহমনোজগতের শুদ্ধতম জ্ঞানী।