বেদনাকিশোর

অনুতপ্ত হতে হতে আমি দগ্ধ অঙ্গার হয়ে গেলাম, আর
কতো?
সেই যে একদিন কেমন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে,
কেন সেই থেকে আমি শালপাতার মতোন কেঁদে কেঁদে
বুক ভাসাই;

কখন বৃষ্টির দিনে গ্রামোফোন শুনতে আসা লাজুক মেয়েটি
হাতে গুঁজে দিয়েছিলো একখানি খাম,
বৃষ্টিভেজা গাছের মতোন এতো নুয়ে পড়েছিলো কাছে,
হঠাৎ তখনই যেন সব খান খান হয়ে ভেঙে পড়ে;
আর কিছু মনে নেই, কাঠুরিয়াপল্লীতে তখন কাঠচেরাইয়ের
শব্দ।

একশত কাঁসার বাটি যেন আঁছড়ে পড়ে।
সেই কারো হাত থেকে প্রথম পুষ্প নেয়ার পাপ,
বুকে শুকনো পাতার মতো হাহাকাররাশি
তখনই কি একসাথে নিভে যায় সমস্ত জ্বলন্ত মোমবাতি?

সেই কি প্রথম আমি কাঁদলাম, সেই কি প্রথম সারারাত
ঘুমহীন গেলো,
কেউ জানলো না,
শুধু কে যেন বললো, আর কী, এবার অশান্তি ভোগ করো,
অনুতাপ করো;

সেই থেকে আমি আগুনের দগ্ধ অঙ্গার, তপ্তজল,
শিলাভষ্ম
সেই থেকে অস্থির আহত নক্ষত্র, এক
বেদনাকিশোর।