বসন্তের কবিতা

চৈত্রের উড়ন্ত পাতা বলে গেলো তুমি মেঘে মুচুকুন্দ ফুল
তুমি সেই হেমন্তগোধূলি, আমি তাকে বলেছি ফাল্গুন,
আমি তাকে বলেছি কবির পদ্য, বলেছি কবির জন্মদিন
এসব বলেছি কেন বুকের ভিতরে জাগে বিষণ্ণ মল্লিকা।
এইখানে মেঘদিন মেঘবর্ষ, জলেমেঘে প্রাচীন কবিতা
তবুও চৈত্রের রাত এইভাবে হাওয়ায় হাওয়ায় মেতে ওঠে,
ভেসে আসে তার গান, তার দুঃখ, ভালোবাসা, তার অশ্রুগুলি
চৈত্রের হলুদ খাম মনে হয় তোমার চোখের জলে ভেজা।

কবির কীসের ক্লেশ, অবেলায় কবির কীসের সংবর্ধনা
কিছুই পড়ে না মনে, শুধু দূরে বাউলিয়া বাঁশি বেজে যায়,
চাঁদ ওঠে, অস্ত যায় মেঘ ও পূর্ণিমা, কাঁদে বিরহী কোকিল
বসন্ত তোমার জন্য লিখে দিই গরিবের হৃদয়খামার;
তুমি খুব দূরে আছো, দূরত্বই মানুষের প্রকৃত সম্পর্ক
চৈত্রের উড়ন্ত পাতা বলে গেলো, বলে ঠিক কিছুই গেলো না।