ফিরে যাই

কখন হারিয়ে গেছে আমার শৈশব, আজ কেন
ঘন ঘন ডুবে যাই সেই এঁদো শ্যাওলা পুকুরে, স্বপ্নে;
এক ঢােক জল খেয়ে ভেসে উঠি, যেন সদ্য শিখছি সাঁতার
ইচ্ছে করে পাবনার আঞ্চলিকে ডাক দিই মাকে, বাবাকে….

আজ খুব ইচ্ছে করে স্নান করি নদীজলে নেমে
ইচ্ছেমতাে মাখি শরীরে জলের গন্ধ, দেখি
কীভাবে লাফিয়ে পড়ে সরপুঁটিগুলি-
শুনি পুরনাে টিনের চালে মধ্যরাতে সেই বৃষ্টিপড়া,
আজ খুব ইচ্ছে করে উদলা গায়ে শৈশববেলায় ফিরে যাই;

ফিরে যাই দলকলসের বনে, আখক্ষেতে,
বাউকুড়ানীর মাঝে, জলের ঘূর্ণির মধ্যে
ফিরে যাই আমার মায়ের কাছে,
চাল-ধােয়া হাতের ছায়ায়;
আজ আমি এইসব পাথর-কংক্রিট ফেলে
মাটির বাড়িতে ফিরে যাই।
ফিরে যাই আপনজনের কাছে, চেনামুখ মানুষের কাছে
আজ বড়াে মনে পড়ে তরলা বাঁশের ঝােপ…
ফিরে যাই সেই খরাজালপাতা গ্রামে,
পাতকুয়া থেকে জল তুলে আঁজলা ভরে খাই।

২১.৩.১৯৯৫