শরৎসন্ধ্যার সংবেদনা

শিউলি-ফোটা ভোরবেলার মতো শরৎকালের
সন্ধ্যার আকাশ
এই আকাশখানিরে ভালোবেসে আমার দুচোখ
ঝাপসা হয়ে আসে; কতো শৈশব
কতো শিউলি ফুলের মালা গাঁথা
কতো নদীর জীবনীপাঠ,
আমি খুঁজতে খুঁজতে কোন বিষাদঅরণ্যে হারিয়ে যাই।
সেখানে শাদা মেঘের চিত্রকলা, অক্ষরের মতো
শিশিরবিন্দু
আমি চোখ ফেরাতে পারি না, মন ফেরাতে পারি না
করজোড়ে দাঁড়িয়ে থাকি;
কখন আমাকে শেষ বর্ষার বৃষ্টি,
আকাশ থেকে গড়িয়ে-পড়া অশ্রু
ভাসিয়ে নেয় আমি কিছুই জানি না।
শরতের এই মেঘের উপর মাথা রেখে
আমি ঘুমিয়ে পড়ি
আমার এই অবসাদ, আমার এই আচ্ছন্নতা, এই শোক
বুকপকেটে ভরে নিয়ে আমি দিব্যি তোমাদের সাথে
ঘুরে বেড়ালাম;
তোমরা কিছুই বুঝলে না, না আমার দুঃখ,
না আমার কাতরতা
এই যে আমি পথে পড়ে-থাকি, নির্জন
শিউলি ফুলের মালার মতো একা,
এই যে আমি দুই হাতে পাপ মাখতে মাখতে
নিশিরাত,
শরতের এই আকাশ তার কিছুই জানে না,
তবুও আমি তারই সংবেদনহীন চোখের দিকে
এতো বছর তাকিয়ে আছি।