তুমি দরজা নাও খুলতে পারো

আমি কি পাখি যে সারারাত ভাঙা গলায় তোমাকে
ডাকতে পারবো,
আমি কি নদীর ঢেউ যে আছড়ে পড়তে পারবো
তোমার দুয়ারে এসে,
এমন কি কেউ যে অবিরাম করাঘাত করতে করতে
চেনা কণ্ঠে বলতে পারবে, দরজা খোলো;
আমি তেমন কেউ নই, নদীর ঢেউ নই, রাতের পাখি নই,
পুরনো প্রেমিক নই
যার মৃদু করাঘাতে বিশ্বস্ত ডাকে তুমি তৎক্ষণাৎ দরজা
খুলে দেবে।
আমি জলের স্রোতের মতো, বাতাসের কাঁপা কণ্ঠস্বরের
মতো
অস্থির শিশিরবিন্দুর মতো নিঃশব্দে তোমার পায়ে ঝরে পড়ি
সেই জল কখনো তোমার চোখে পড়ে, কখনো
পড়ে না;
এই সামান্য সঞ্চয় নিয়ে আমি তোমার কাছে খুব বেশি
কী চাইতে পারি?
তুমি ডাক শুনতে পারো, নাও পারো, ফিরে
তাকাতে পারো, নাও পারো,
তখনই দরজা খুলে আমাকে অভ্যর্থনা জানাবে সে তো আশাই
করি না।