গীতিকবিতা-২

চোখ জলে ভেজা স্যাঁতসেঁতে
বালিশের উপর শুয়ে থাকতে অনেক রাত,
ধন্যবাদ হে ভালবাসা
ধন্যবাদ এই দুঃখ দেয়া।

সুখে থেকো তুমি বলেছিলে
সুখেই আছি সবাই বলে,
ঠোঁটমুখে হাসি লেগে আছে
অন্তর কাঁদে কেউ না জানে।

পুরনো চিঠি পড়তে বসে
আজও মনে সন্দেহ জাগে,
আদৌ কি ভালবেসেছিলে নাকি ছিল
এ ছলনা অবলীলাক্রমে।

চলে গেলে
অশান্ত সাগরে,
জীর্ণ ভেলায়
যাও তুমি অনিশ্চিতে,

ভেসে যাও
নেই কোন আশ্রয়,
ভেসে যাও
নেই কোন পিছুটানের সংশয়,
আমি স্বর্গহীন পৃথিবী আঁকড়ে রব
ভরাডুবির আশঙ্কাতে।

নিথর রাত মিটমিটে
জোনাকীর আলো দেখে
জ্বলছে নিভছে মনের আশা,
ধন্যবাদ হে ভালবাসা
ধন্যবাদ হে রসিকতা।

বিদায় বিহনে বলেছিলে
কষ্ট দিলে তুমি দুঃখ পাবে,
পরাজয়ের এই জীবন আমার
এতটুকুতো মেনেই নেবে।

প্রেমের প্রলাপে জলেপ মেখে
বিলীন করলে মিথ্যাচারে,
ধন্যবাদ হে ভালবাসা
ধন্যবাদ এই মনভাঙ্গা।

ঘৃণার কথা বলেছিলে
ঘৃণায় আমার জীবন চলে,
ঘৃণাকে ভালবাসার আগে
এই সত্য কথা কেউ না মানে।

ভেসে যাও
নেই কোন প্রাপ্তি,
ভেসে যাও
নেই কোন অকারনে শাস্তি,
আমি সত্যহীন পৃথিবী আঁকড়ে রব
চোরাবালির নিমজ্জনে।

যাওগো তুমি স্বপ্নকুলে
স্বপ্ন ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখে,
দুঃস্বপ্ন না হয় আমি ভেবে
শান্তনা দেব অবুঝ মনে।

চোখ জলে ভেজা স্যাঁতসেঁতে
বালিশের উপর শুয়ে থাকতে অনেক রাত,
ধন্যবাদ হে ভালবাসা
স্বাগতম হে নিঃসঙ্গতা।

কন্ঠ: মাকসুদুল হক
সুর: ফিডব্যাক
আবৃত্তির অংশ: সুমন চট্টোপাধ্যায়ের ‘ক্যাকটাস তুমি কেঁদো না’ কবিতা থেকে নেয়া।