আবার বরষ পরে
এসেছি পাথেয় তরে;
-পথের সম্বল;
যাহা কিছু দিয়াছিলে,
খুঁজে আর নাহি মিলে;
-হারায়েছে সবি কোথা’, হৃদয় চঞ্চল।
মনে সে উৎসাহ নাই,
শরীরে সে নাই বল;
অধরে সে হাসি নাই,
চোখে নাই অশ্রুজল!
ভেঙেছে প্রাণের বীণ,
ছিঁড়ে গেছে তারগুলি;
গীত গান সমাপন,
গেছি সুর তান ভুলি।
ভাঙা বুকে, শুষ্ক হিয়ে,
আবার এসেছি কাছে;
দাও দেব! আরবার,
যা’ তোমার দিতে আছে।
আবার নূতন ক’রে
এ যাত্রা চলিতে পথে,
দেখি পারি কি না পারি,
শেষবার;- বিধিমতে!
বাঁধিব আবার প্রাণ,
নব জীবনের গান-
গাহিব আবার একবার;
নূতন রাগিণী ভাঁজি’,
ধরিব আবার আজি
নব সুর;- জোড়া পুন দিয়ে ভাঙা তার।
এ যাত্রা বিফল হ’লে,
আর কিছু চাহিব না;
আর আসিব না কাছে,
আর আশা রাখিব না।
অনন্ত মৃত্যুর করে দিব সমর্পিয়া মোরে,
অনন্ত সমাধি বুকে লভিব বিরাম;
অনন্ত-আঁধার-গর্ভে লুকাইব নাম!
১৩০৩।