কে তুমি, কি তুমি, আমি তাহা কিছু নাই জানি;
আছ তুমি বিশ্বব্যাপী পেয়েছি তা অনুমানি।
বিশ্বরূপী তুমি, আমি ইহাই জেনেছি সার;
একমাত্র তুমি শুধু, জানি না দ্বিতীয় আর।
তোমারি কণা যে আমি, তুমি ছাড়া আমি নাই;
তোমারি রূপের কণা আমাতে দেখিতে পাই।
ও অনন্ত জ্যোতি কণা এ আমাতে প্রকাশিত;
ও অসীম শকতির কণা মাত্র বিকশিত-
আমাতে, তাহাই লয়ে আমার আমিত্ব যত;
ক্ষুদ্র আমি তাই লয়ে গরব করি হে কত।
অনাদি অনন্ত তুমি অসীম সৌন্দৰ্য তব;
কভু নহ পুরাতন চিরকালই আছ নব।
ধরিতে, ছুঁ ইতে, তোমা পারে নাই কেহ কভু;
সবারি অতীত তুমি, সবেতেই আছ প্রভু।
মূর্খ আমি, ক্ষুদ্র অতি, অসীম তোমারে তাই,
ক্ষুদ্র এক অংশে তব তোমারে বাঁধিতে চাই।
ক্ষুদ্র যাহা আছে তাহা চিরকালই ক্ষুদ্র র’বে
তার সাথে অসীমের তুলনা কেমনে হবে?
অসীম তোমারে, সবে হৃদয়ে ধরিতে নারে;
সসীম ভাবিয়ে তাই পূজা করে ক্ষুদ্রতারে।
এমনি করিয়া তারা পাবে কি তোমারে প্রভু?
সীমাপূজা অসীমায় পরিণত হবে কভু?
১৮ই মাঘ, ১৩০১।