শুধু,- সুন্দর ভাষা, ললিত রচনা-
সরস হৃদয়গ্রাহী,
নিতি,- নবীনছন্দে, মিলন বন্ধে
তোমার তুমিত্ব নাহি।
* * * *
আমি,- মুগ্ধ হয়েছি হেরিয়া তোমার
অসীম প্রেমরাশি,
আমি,- এসেছি ছুটিয়া শুনিয়া তোমার-
আকুল হৃদয় বাঁশী।
আমি,- দেখেছি তোমার মরমে পশিয়া
গভীর মরম-তল;
তব,- মানসসরসে প্রেম শতদল
ফুটে করে ঢল ঢল।
তুমি,- প্রেমকমলের সে সুরভিঘ্রাণে-
হইয়া পাগল পারা,
ভাই,- অধীরে ব্যাকুলি খুঁজিয়ে বেড়াও
আপনি আপন হারা।
যেন,- নাভির সুরভে পাগল হরিণ
ছুটিয়া বেড়ায় বনে,
আছে,- আপনাতে তাহা ভ্রমেও বারেক
উদয় হয় না মনে।
তুমি,- বিশ্বপ্রেমিক, বিশ্ব রূপের
তাই তব উপাসনা,
তাই,- যা দেখ, হৃদয়ে ধরিবারে সাধ,
হউক না বালি কণা!
তুমি,- চাহ আপনারে জগতে বিলাতে
বিশ্বেরে করিতে দান,
তুমি,- অনন্তের মাঝে চাহ আপনারে
করিবারে সমাধান।
তাই,- অনন্তের সুরে আকুল পরাণে
আবাহন গান গাহ,
‘আমি,- দিব আপনারে জগতে বাঁটিয়া’
“এস এস লহ লহ।”
ওই,- আবাহন গান, কেহ বা শুনেছে;
ভুলেছে নিমেষ মাঝে;
কেহ বা,- পায়নি শুনিতে রয়েছে মগন,-
ক্ষুদ্র স্বার্থময় কাজে।
আর,- কেহ বা শুনিয়া বুঝিয়াছে আর,
বুঝি শুধু ‘বেচা কেনা’;
তারা,- ভাবে বুঝি শুধু করে থাক তুমি,
সুযশের উপাসনা।
আমি,- বুঝেছি তোমায়, বুঝেছি তোমার,
ও অসীম প্রেমরাশি!
তাই,- দিতে উপহার, এনেছি আমার-
প্রেম, ভক্তি, অশ্রু, হাসি।
চৈত্র, ১৩০১।