কুসুমিতা কোমলা ব্রততী,
কে করিল হেন দশা তোর?
হায়! কত মন সাধে, হৃদয়ে হৃদয় বেঁধে,
সুখের স্বপনে আহা আছিলি বিভোর!
অকালেতে কে ভাঙ্গিয়া দিলে,
মরি তার সাধের স্বপন!
বাহু বাড়াইয়া ওরে, রেখেছিল বুকে ধ’রে-
বিটপী; ছিঁড়িল হায়! কে সেই বাঁধন।
কতই সোহাগে লতিকাটী
ক্ৰমে ক্ৰমে উঠেছিল বেড়ে!
ফুটিত কুসুম কত, ফুলভরে হয়ে নত
সুখী হত, দীঘিজলে নিজরূপ হেরে।
সকালে বিকালে প্রতিদিন,
গ্রাম্য বালিকার মত আসি,
দিঘী হতে জল তুলে, ঢেলে দিত ওর মূলে,
গাঁথিত হরষে মালা- তুলি ফুল রাশি।
ঝটিকায় গিয়েছে ভাঙ্গিয়া-
বিটপিটী আশ্রয় তার;
ভেঙ্গেছে সাধের ঘর, তাই ও ধূলার পর
লুটিছে, আশ্ৰয় পুনঃ কোথা পাবে আর!
নিরাশ্রয়া পানে আজি কেহ
এক বার ফিরিয়া না চায়;
অবহেলে অনাদরে, প্রখর তপনকরে,
একাকী ধূলায় পড়ে তাই ও শুকায়৷
১২ই ভাদ্র, ১৩০১।