বুদ্ধদেব

নমি তোমা বুদ্ধদেব, মহা যোগিবর;
মাখান পবিত্র শান্তি-
ও তব অপূর্ব্ব কান্তি,
বৈরাগ্য ঢালিয়া দেয় প্রাণের ভিতর।
জ্বলন্ত বৈরাগ্য হেন পাবে কোথা নর!

ত্রিভুবনে নাহি মিলে তুলনা তোমার;
এমন অপূর্বর শিক্ষা,
এমন ধরম দীক্ষা-
কে দিয়েছে কোন্ খানে তোমা ছাড়া আর।
ধন্য বুদ্ধদেব। তব মাহাত্ম্য অপার৷

অতুল ঐশ্বর্য্য ত্যজি, ত্যজিয়া সংসার,
কাটিয়া মায়ার পাশ,
লয়ে এক মহা আশ,
সামান্য ভিক্ষুর বেশে রাজার কুমার,
লোকালয় ছাড়ি গেলে গহন কান্তার।

বিলাস সম্ভোগ ত্যজি নব যৌবনে
খুঁজিতে মুক্তির পথ
মহা তপস্যায় রত,
করেছ সুদীর্ঘ কাল ধ্যান এক মনে;
খুঁজিয়া পেয়েছ পথ কত না যতনে।

মুক্ত করি মায়াজাল লভেছ নির্ব্বাণ;
দেখায়েছ জ্ঞানই ভক্তি,
জ্ঞানেতেই হয় মুক্তি,
জ্ঞানই দেখায়ে দেয় পথের সন্ধান;
নমো নমো বুদ্ধদেব মহাজ্ঞানবান্।

হে প্ৰভু, হে বুদ্ধদেব, দাও মোরে দীক্ষা;
উপকারই শুধু কৰ্ম্ম,
“অহিংসা পরম ধর্ম্ম”
তব পদতলে বসি পাব এই শিক্ষা;
তোমার নিকটে দেব মোর এই ভিক্ষা৷

৪ঠা ভাদ্র, ১৩০১।