চিরদিন একা নয়

আজি আমি একা পড়ে
মানবের অন্তরালে,
পাব কি না পাব সাথী
জানি না ত কোন কালে।

কিন্তু আমি একা হেন
নাহি ছিনু চিরদিন;
ছিল না ত এ হৃদয়
উদ্দেশ্য উৎসাহহীন।

প্রভাতকিরণ যবে
ফুটে উঠেছিল মুখে,
সমস্ত জীবন ছিল
পূর্ণ এক মহা সুখে।

প্রভাত অরুণালোকে
নবীন উৎসাহভরে,
চলিনু বিলাতে প্ৰেম
মানবের ঘরে ঘরে।

পেয়েছিনু সে তখন
জীবনের সাথী মোর,
সে মোরে ছাড়িয়া গেল
অতীত না হতে ভোর।

নৈরাশ্য ঘিরিল আসি
হৃদি প্রাণমন দেহ,
ভাঙ্গিয়া পড়িল মোর
সাধের প্রেমের গেহ।

প্রভাত অরুণালোক
ঢাকিল জলদজালে,
এ নিবিড় অন্ধকার
ঘুচিবে কি কোন কালে?

সঙ্গীহীন, সুখহীন,
এ বিজনে পড়ে আছি
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ভাই
তোদের প্রসাদ যাচি।

যদিও একেলা আমি
তোমরা ত পর নও;
পিতার সস্তান যদি,
আমার ত ভাই হও।

দেখ চেয়ে স্নেহ বিনা-
এক্‌টী ভগিনী মরে,
ধর অভাগীর হাত
তোমরা করুণা করে।

সাথে লও তোমাদের
এ বিস্তীর্ণ কৰ্ম্মপথে,
ভেসে যেন নাই যাই
শুধুই সংসারস্রোতে।

৯ই আশ্বিন, ১৩০১।