জ্যোৎস্নার প্রতি

আহা! কি তুই রূপসি? গঠিত ও তনু
বল্ বা কি সুধা দিয়া?
যত, ধরি ধরি করি, না পারি ধরিতে
চাহিলো মুগধ হিয়া।
যেন, বিরহীর হৃদে মিলনের স্মৃতি
বিছানো মধুরতর!
যেন, ঐশ্বর্য্যের স্বপন-কুহেলি
দীনের নয়ন পর!
তোর, ছায়া-মায়াময়ী তনুর, তেমনি
স্বর্ণ-গোলাপ-বিভা,
শ্যামা, প্রকৃতির বুকে তরঙ্গ তুলি’
শোভিছে মধুর কিবা!
ভরা, লাবণ্যে তনু করে টলমল,
গোলাপী নেশায় ভোর!
হানি’, কটাক্ষ, মন অলক্ষ্যে চুরি
করা শুধু খেলা তোর!
বাঁধি, সবারে আপন মায়াপাশে, নিজে
দূরে র’স্, কাছে থেকে!
ওরে! যাদুকরি! তোর লীলা বোঝা ভার,
-অবাক্ হ’য়েছি দেখে!

১৩০৪। শ্রাবণ।