নিৰ্ম্মল নীল গগন তলে,
মধ্যাহ্রের তপন জ্বলে;
উজলি দিক্ দিগন্ত,
করিছে সবে জীবন্ত,
প্রখর রশ্মি দিতেছে ঢেলে,
নিৰ্ম্মল নীল গগন তলে।
বাহিয়া ধীরে উভয় তীর,
চলে জাহ্নবী শান্ত গভীর
জাহ্নবীর স্বচ্ছ বুকে,
রবি-ছায়া ঝক ঝকে,
শস্যশ্যামল উভয় তীর।
বহিয়া চলে জাহ্নবী ধীর।
জাহ্নবী বুকে একটি তরী,
চলে সুবাতাসে পাল ধরি;
উভয় তীর নির্জ্জন,
নাহিক কেহ এখন,
গভীর নিস্তব্ধ ভেদ করি,
নাবিক গাহে তরীর পরি।
প্রকৃতি এখন শান্ত স্তব্ধ,
নাহি কোলাহল, নাহিক শব্দ,
কেমন গম্ভীর হ’য়ে,
রহিয়াছে দাঁড়াইয়ে,
যেন এই নিয়মেতে বদ্ধ,
-এখন যেমন শান্ত স্তব্ধ।
প্রকৃতির এ নীরব শোভা,
আহা কি মধুর মনোলোভা,
সাধ যায় সদা দেখি,
ভরিয়ে তৃষিত আঁখি,
এ নিজনে হায়!
দেখিবে কেবা,
প্রকৃতির এ নীরব শোভা।
১৩০০; ৩ চৈত্র।