“Yet, lurks a wish within my breast
For rest- but not to feel ‘t is rest.
Soon shall my fate that wish fulfil;
And I shall sleep without the dream
Of what I was, and would be still,
Dark as to thee my deeds may seem
My memory is but the tomb
Of joys long dead; * * *”
Byron.
(১)
আয় মৃত্যু, আয়!
অমৃত-পরশ হস্ত তোর
সঞ্চালিত কর সর্ব্ব কায়।
এ নির্জ্জন সন্ধ্যা-তলে
শান্ত এ নদীর জলে
চুপি চুপি খুলি স্বর্গ-দ্বার
নেমে আয় নিকটে আমার।
আমি কিছু ভয় করিব না;
সখা বলি ডাকিব আদরে
সখা বলি আলিঙ্গিব তোরে।
(২)
সূৰ্য্য অস্তে গেছে কতক্ষণ!
বিষণ্ণ রাঙিমাটুকু তার
গলিয়া মিশিয়া নদী-জলে
ছিল যেন হ’য়ে একাকার।
ধীরে ধীরে সন্ধ্যার ছায়ায়
সে রাঙিমা আসে মিলাইয়া;
করুণা-প্রলেপে যথা যায়
হৃদয়ের বেদনা চলিয়া।
এই শান্ত নদীর উরসে,
এই স্নিগ্ধ সন্ধ্যার মতন,
উদার করুণ ছবি তোর,
মনেতে উঠিছে জেগে মোর;
তাই তোরে করি আবাহন!
আয় মৃত্যু, আয়!
(৩)
সান্ধ্য বায়ু ধীরে ব’য়ে যায়!
কি মধুর পরশ উহার!
ওরি স্পর্শে মরিবারে চায়
কুসুমেরা, খনি সুষমার;
বিবশ আপন-হারা হ’য়ে।
কি মোহিনী জানে ও না জানি!
কি গান ও ভ্রমে গেয়ে, গেয়ে?
বুঝি তোরি গান!
‘তুমি কত প্রেমের নিলয়
তুমি কত সুন্দর মহান্!’
তাই বুঝি করিছে বর্ণন?
প্রাণস্পর্শী কি করুণ সুর!
উদ্বেলি’ অধিকতর ওঠে,
হিয়া মম, অশান্ত বিধুর।
আয় মৃত্যু, আয়!
আজ শুধু তোরি কথা, তোরি কথা
মনে ভায়,
আজ প্রাণ শুধু তোরে চায়।
আয় মৃত্যু, আয়!
(৪)
উপরেতে ঘন নীলাম্বর
দ্বিতীয়ার চন্দ্রকর স্নাত,
অনন্ত, অগণ্য তারকায়
খচিত,- মধুর আজি রাত
শ্যামল বিস্তীর্ণ বনদেশ
ফুলন্ত ফুটন্ত মনোরম;
ছায়াস্নিগ্ধ শান্ত প্রবাহিনী;
কিছু হেথা নাই অশোভন।
তুই ও মধুরতর বেশে
নেমে আয় স্বরগ হইতে।
পরিপূর্ণ হইয়া উঠিবে
শোভা আরো, তোর চারিভিতে।
১৩০৫। কাৰ্ত্তিক।