হে নিন্দুক! তুমি কেমনে বুঝিবে-
কবির প্রাণের ভাষা?
বামন হইয়ে ধরিতে চন্দ্রমা
দেখি যে তোমার আশা!
পরের পবিত্র উচ্চ হৃদয়
দেখিয়া যে জন জ্বলে,
বিদ্বান্ আর বুদ্ধিমান লোকে
মূর্খ তাহারে বলে।
মূর্খ যে জন, কিছুই নাহিক-
নিজের ক্ষমতা যার;
পরের নিন্দা গাহিয়া বেড়ানো
একমাত্র কাজ তার।
কি বা আসে যায়, মূর্খের কথায়,
কেহই দেয় না কাণ;
নিন্দায় তার প্রতিভাশালীর
প্রতিভা না হয় ম্লান।
আসিয়াছ রাহু! রবিরে গ্রাসিতে,
আসাই হয়েছে সার;
রবির প্রখর কিরণে তুমিই
পুড়ে হবে ছার খার।
অবশ্য কহিবে ভদ্রতার সাথে
দোষ যদি কিছু থাকে
সুরুচিসঙ্গত বুঝাইয়া দিবে,
সুজন বলি যে তাকে।
এ তো নয় তাহা, এ যে দেখি শুধু
মিছামিছি ছল ধরা;
এ শুধু আপন অক্ষমতা দেখি
হিংসায় জ্বলে মরা।
অভদ্রের মত গায়ে পোড়ে এ যে
কোন্দোল করিতে আসা,
বাহাদুরী পাবে লোকের নিকটে
আছে বুঝি মনে আশা?
পাবে বাহাদুরী, হিংসুকের কাছে-
তোমার মত যে হবে
“মূর্খের কাণ্ড” বলিয়া হাসিবে
সুজন, সুবুদ্ধি সবে।
২০শে মাঘ, ১৩০১।
* কোন বিখ্যাত কবির বিরুদ্ধে শ্লেষোক্তি পাঠ করিয়া লিখিত