নবোঢ়া কিশোরী

ধরে নাকো রূপ কিশোরী-অঙ্গে,
উছলি’ উছসি’ পড়িতে চায়;
লাজে সঙ্কোচে বসন-ভঙ্গে
বাঁধিতে চাহিছে, বাঁধা কি যায়?
ধরে নাকো প্রেম তরুণ বক্ষে,
টুটিয়া ভাঙিয়া ছুটিতে চায়;
ভাবে ঢলঢল আনত চক্ষে
‘তড়িৎ-কুসুম’ ফুটিতে চায়।
বাধ বাধ যেন চরণে চরণ
গুরু গুরু বুক উঠিছে কেঁপে;
সখীর বক্ষঃ করিয়া শরণ
দু’হাতে তাহারে ধরিছে চেপে।

সখী ধরি হাতে লয়ে যায় সাথে,
ঘোম্‌টা টানিয়া খুলিয়া দিয়ে;
করতালি দিয়। হেসে পলাইয়া
দেখে চুপি চুপি আড়ালে গিয়ে।
এদিক্‌ ওদিক্‌ চাহি চারি পাশে,
মৃদুপদে পতি কাছে আসিয়ে;
করে ধরি তারে মৃদু সম্ভাষে
শয্যা-উপরে বসায় নিয়ে।
মু’খানি ধরিয়ে কহে- “অয়ি প্রিয়ে!
চাও একবার তুলিয়া আঁখি
পিয়াসায় হিয়া উঠে আকুলিয়া
একটাও কথা কহিবে নাকি?”
চাহিবারে গিয়া দিশাহারা হ’ল,
নয়নে নয়ন পড়িল ঢুলে;
ফুটিয়া উঠিল হাসি ফুলদল,
রাঙা কিসলয় অধর-মূলে!-

১৩০৩। ২১ জ্যৈষ্ঠ।