নীরব নিশীথাকাশে, শারদ চন্দ্রিকা মাখা,
উড়িয়া চলিছে দ্রুত, ভাঙা মেঘ লঘুপাখা ।
হাসিছে নবমী-শশী, নীরবে গভীর হাসি;
অতুল সৌন্দৰ্যময় অনন্ত মহিমারাশি!
নীরবে মেঘের পাশে দু এক্টী তারা জ্বলে,
আশা-মাণিকের সম গোপন হৃদয়তলে!
বিস্তারি’ সহস্র বাহু উন্মুক্ত আকাশ-পানে,
তুলিয়া উন্নত শির পাদপ মগন ধ্যানে!
মথিয়া বিশ্বের প্রাণ, ধ্বনি এক উঠিতেছে!
গভীরতা, নীরবতা, কত তাহে ফুটিতেছে!
চরাচর স্তব্ধ হ’য়ে, শোনে সে নীরব তান!
মহান্ সত্তায় এক, ডুবিয়া যেতেছে প্ৰাণ!
নির্ব্বাক্ অধরপুট, পলকবিহীন আঁখি,
মধুর মিলন সে যে, শত ব্যবধানে থাকি’।
১৩০৪। ২৯শে ভাদ্র।