অমৃত-ভিখারী আমি

(দুইটী শিশুকে উদ্দেশ করিয়া লিখিত।)

অমৃত-ভিখারী আমি অতৃপ্ত হৃদয়ে,
খুঁজে ফিরি কোথা সুধা চির তৃষা লয়ে।
পেয়েছি সন্ধান আর মরিব না ঘুরি,
তোরা সে সুধার ভাণ্ড করেছিস্ চুরি!
হৃদয়-গোপন-কক্ষে লুকায়ে রাখিয়া,
পিয়িয়া আছিস্ আত্ম-বিহ্বল হইয়া!
ঈষদ্ভিন্ন অধর-অর্গল হ’তে তার,
উচ্ছ্বসি উঠিছে বিভা ফুল্ল রাঙিমার!
হাসিটী তাহারি স্পর্শে হ’য়ে মধুময়,
নিমেষে কাড়িয়া লয় সমস্ত হৃদয়।

চুম্বনে সে কান্তিটুকু করিবারে পান,
ব্যাকুল অধীর হ’য়ে ওঠে বড় প্রাণ।
যতই চুম্বন করি বাড়ে আরো তৃষা,
কি যে উম্মাদনা-স্রোতে চলে যায় দিশা!
বক্ষের উপরে রাখি দৃঢ় আলিঙ্গনে,
শ্রান্ত করে দিই শুধু চুম্বনে চুম্বনে!

২০শে ফাল্গুন। ১৩০৫ সাল