বিমল আকাশ-তলে
অসংখ্য তারকা জ্বলে,
ক্ষীণ শশী শোভে তৃতীয়ার!
একেলা কুসুম-বনে
বসিয়া আপন মনে,
চেয়ে চেয়ে দেখি চারিধার।
সর্ব্ব অঙ্গে লতিকার
চঞ্চল পুলকভার
সঞ্চারিয়া সুদক্ষিণ বায়,
ফুটায়ে ফুলের মুখ,
শূন্য করি পূর্ণ বুক,
সৌরভ মাখিয়া চলি’ যায়।
অদৃশ্য লহরী তুলি’
আসে যায় ঢেউগুলি,
আকুল করিয়া তোলে প্রাণ!
জল আসে আঁখি-মাঝে,
কি ব্যথা পরাণে বাজে!
হায় পিক গায় ওকি গান!
আধ আলো, আধ ছায়া,
কি এক স্বপন মায়া
রচিয়াছে চৌদিকে আমার!
রূপসী প্রকৃতি-রাণী
মৃদুল মর্ম্মর-বাণী
কাণে কাণে কহে বারম্বার!
বুঝিনা কো সে কথার
কি যে সব অর্থ তার,
-হৃদয়ের বেজে ওঠে তার!
যতদূর দৃষ্টি যায়,
কেহ নাই, কোথা হায়!
-ভিতর বাহির একাকার!
এ ভুবন শোভাময়,
ব্যর্থ বলি’ মনে হয়,
অপূর্ণতা চেয়ে দেখি প্ৰাণে!
কোথা সে অর্দ্ধেক আর?
এ অশান্তি হাহাকার,
সমাপ্তি লভিবে কোন্ খানে?
১৩০৪ । আষাঢ়।