মানবের একখানি প্ৰাণ।
কেমন করিয়া চলে তবে?
দেবতা তেত্রিশ কোটি চাহে যদি দান।
কারে অবহেলা করি’
কার হায়! রাখিব সম্মান?
সকলেই নিজ নিজ খুলিয়া ভাণ্ডার,
দেখাইয়া ঐশ্বর্য্য অপার;
কহিছে- “এ সকলি তোমার।
“তুমি যদি বিনিময়ে এর
“দান কর প্রাণ আপনার।
“এ অতুল ঐশ্বর্য্যের রাশি
“অমর করিয়া চিরদিন
“রাখিবে তোমায়; দেহ তব
“কাল-গর্ভে হ’লেও বিলীন।”-
আমি যেন বিবাহের পাত্র একজন;
চারিদিকে অগণ্য সুন্দরী।
বল কারে করিয়া বরণ
জীবনের চিরসাথী করি?-
দেবতারা অভিমানী বড়,
জানা আছে শ্রীবৎস-চরিতে।-
“সুখ চেয়ে সুস্থ থাকা ভাল,”
বৈরী কারে চাহি না করিতে।-
আমার এ অতি ক্ষুদ্র প্রাণ,
ক্ষুদ্র হোক আমারি তা’ থাক্।
ফুটে ছিল নীরবে কুসুম,
নীরবেই থাক্; ঝরে যাক্।
জগতের চক্ষের সমুখে
আবরণ করি অপসার,
আপনারে করিব প্রকাশ;
সে ক্ষমতা নাহিক আমার।
১৩০৪। ৩রা চৈত্র।