আমার,- শৈবলিনী, হৃদয়রাণী
বুকজুড়ান ধন;
তোর,- ও মনোলোভা, রূপের শোভা,
ধরায় অতুলন।
তোর,- ও ছোটো দুটী কচি ঠোঁটে
মিষ্টিমাখা হাসি,
আমি,- অনিমেষে নয়নভরে
দেখতে ভালবাসি।
না জানি- কি যে আছে ও হাসিতে
পাগল করে প্ৰাণ;
আমি- অসীম স্নেহে চেয়ে থাকি
অবাক্ দুনয়ান।
আবার,- তোমার ওই প্রাণভুলানো
মোহন মধু স্বরে
যখন,- আধ আধ বাধ কথায়
শ্রবণে সুধাঝরে;
তখন,- আর কি আমি আমায় থাকি,
জগৎ ভুলে যাই;
যেন,- শতেক বাহু পসারিয়ে
তোমার পানে ধাই।
সাধ,- বুক্টা চিরে রাখি তোমায়
বুকের ভিতরে;
থাকি – দিবস নিশি ডুবিয়া যেন
প্রেমের সাগরে।
আমি,তোমায় নিয়ে করব যে কি,
রাখ্ব কোথায় পাই না ভেবে;
তাই,- আবেগ ভরে মাঝে মাঝে
বুকের পরে ধরি চেপে।
ফাল্গুন, ১৩০১
*(শৈবলিনী) আমার বোনঝি।