১। ঘুমিয়া কি জেগে আছি?
নিশি কি দিবা?
কি দেখি এ অপরূপ!
স্বপন কি বা?
কত দিন পরে এ কি!-
এ কা’র মুরতি দেখি!
তুমি- সেই তুমি কি গো –
এসেছ হেথা?
উঃ! কাঁপিছে এ তন্তু মোর
ফুটে না কথা।
২। এখনো এ অভাগীরে
আছে কি মনে?
যাও নাই ভুলিয়া যে
জানি কেমনে?
আমি তো ইহাই জানি,
স্মৃতিপথে রলে আমি,
বারেক দেখিতে আসি,
‘কেমন আছে’।
জান না কি অভাগিনী
মরিয়া বাঁচে!-
৩। কত ভাগ্যে আজ তব
পেলাম দেখা!
হৃদয়ের প্রান্তদেশে
স্মৃতির রেখা-
এক্টুও কি গো আছে?
কি বা সবি মুছিয়াছে?
প্রবেশিয়া নব পথে
ভুলেছ হায়!
তুমি ভোলো, ভুলিব না-
আমি তোমায়।
৪। এলে যদি দয়া করে-
এ ভাঙ্গা বাসে,
ক্ষণেক বস হে সখা
অভাগী পাশে।
দেখি ও আনন খানি,
শুনি দুটী মধু বাণী;
দেখি ও মধুর হাসি
ভরিয়া আঁখি;
নীরবে আপনা ভুলি
চাহিয়া থাকি।
৫। ওকি? সখা এরি মাঝে
যেতেছ চলি?
যেও না- যেও না- ওগো
হৃদয় দলি।
কত দিন পরে যদি
মিলাইয়া দিলে বিধি,
নিয়ো না এখনি, তোরে
মিনতি করি!
যেও না- যেও না সখা,
চরণে ধরি।
পৌষ, ১৩০১।