নীলাঞ্জনা

লাল ফিতে, সাদা মোজা স্কু-স্কুলের ইউনিফর্ম
ন’টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম।
পড়া ফেলে এক ছুট-ছুটে রাস্তার মোড়ে
দেখে সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম।

এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া,
এরপর বিষণ্ণ দিন বাজেনা মনোবীণ
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন।

হাজার কবিতা, বেকার সবই-তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোঁড়ায়,
হিন্দি গানের কলি, সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়।

তখন উদাস মন ভুলে মনোরঞ্জন
দাম দিয়ে যন্ত্রণা কিনতে চায়,
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা
ও মনের গভীরতা জানতে চায়।
যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে
তাকাতো সে অবহেলে দু’চোখ মেলে।

অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়
তার ছবি, তার নাম পাতায় পাতায়,
হাজার অনুষ্ঠান, প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনের আশায়।

রাত জেগে নাটকের মহড়ায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষণের প্রতিক্ষায়,
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়
একবার একবার যদি সে দাঁড়ায়।
বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন
নিজেতে ছিলো মগন এ প্রাণপণ।

কন্ঠ ও সুরঃ নচিকেতা চক্রবর্তী