আমি এবং একলা-বকুল

এই, তোরা ওই নদীর ধারে
শ্মশানঘাটে
আমাকে এতক্ষণ
একলা
বসিয়ে রেখেছিলি কেন?
নিজেরা তো বাইরে বসে দিব্যি আড্ডা দিচ্ছিস।
নে, ওঠ,
যা, তোরা গিয়ে মড়া আগলা।
আমি চললুম।

মনে-মনে এই কথাটা
কম করেও
পঞ্চাশ বার বললুম।
কার্যত কিন্তু
এখনও সেই ঘাটের ধারেই
বসে আছি।

ও মাঝি, ও মাঝি,
দ্যাখো, আমি বড্ড একলা; ভাই,
তুমি একটু দয়া করলেই এ-পার থেকে এখন
ওই পারেতে যাই।

কোথায় মাঝি!
নিজের সঙ্গে কথা বলতে বলতে
রাত্রি হল।
সকালবেলার জোয়ার এখন ভাটা হয়ে
চুপচাপ
ফিরে যাচ্ছে সমুদ্রের টানে।
টুপটাপ
বকুল ঝরছে। আমি একলা। দেখতে পাচ্ছি
বকুলও খুব একলা-ফুল।
বকুল, একলা বকুল, আমরা দু’জনে ঠায় ঝরে যাচ্ছি
কার্যত শ্মশানে।

৬ আশ্বিন, ১৩৭৭