লক্ষণ-বিচার

নাড়ি টিপলেন, জিভ টানলেন, নল লাগিয়ে ছেলেটার
বুক-পিঠের শব্দ শুনলেন,
তারপর
মাথা চুলকে ডাক্তারবাবু বললেন,
“কিচ্ছুই তো বুঝতে পারছিনে।
লক্ষণ কিছু-কিছু পাচ্ছি বটে,
কিন্তু সেগুলি রোগের লক্ষণ, না ওষুধের,
সেইটেই ঠিক ধরা যাচ্ছে না।”

আগে যাঁদের দেখিয়েছিলুম, তাঁদের যাবতীয়
প্রেসক্রিপশনের তাড়া উঁচিয়ে আমি বললুম,
“তা হলে?”

হাত উলটে ডাক্তারবাবু বললেন,
“আপাতত হপ্তাখানেক ও-সব ওষুধ-বিষুধ বন্ধ থাক,
তারপর একবার নিয়ে আসবেন।”

রাস্তায় নেমে বাস পেলুম না,
কোথায় কী গণ্ডগোল হয়েছে, তাই
বাস-ট্রাম বন্ধ। বাতাসে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালাে গন্ধ,
কাছে কোথাও আচমকা একটা পটকা ফাটতেই
কটাকট কটাকট তার জবাব পাওয়া গেল।
বললুম, “লক্ষণ ভাল নয়।”
ছেলে বলল,
“রোগের, না ওষুধের, সেইটেই ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।”

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৩৭৬