টেল-এনডার

বাপু হে,
হাত খুলে এখন খেলে যাও।
যেটা ছাড়বার, ছাড়ো।
যেটা মারবার, মারো।
নিজের মধ্যে সেঁদিয়ে গিয়ে অনেকক্ষণ তো
চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলে,
এবারে বেরিয়ে এসো,
আর অত ভয়ডর কোরো না।

মনে রেখো, তুমি টেল-এনডার।
তোমার কাছে কারও কোনো প্রত্যাশা নেই।
শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও
কেউ তোমাকে গালমন্দ করবে না।
অথচ,
কোনোক্রমে যদি কিছু রান তুলতে পারো,
সবাই তা হলে তুমুল হাততালি দেবে।
তবে আর তোমার মারমূর্তি ধরতে বাধা কী।

মাটি পুড়িয়ে, ধুলো উড়িয়ে ছুটে আসছে
আগুন।
তুমি শুধু ঠেকিয়েই যাচ্ছ।
ভয় জাগিয়ে, ধাঁধা লাগিয়ে ফুটে উঠছে
হতাশা।
তুমি শুধু দাঁড়িয়েই আছ।
চারপাশ থেকে ক্রমেই ওরা আরও ঘন হয়ে
ঘিরে ধরছে তোমাকে।
তুমি দেখেও দেখছ না।
অথচ তুমি টেল-এনডার।
সবচাইতে কম আস্থাভাজন বলেই
সবচাইতে ভয়ংকর চেহারায় দেখা দিতে যার বাধা নেই।

বাপু হে,
এবারে বেরিয়ে এসো।
তোমার ডাইনে-বাঁয়ে সামনে-পিছনে
ওত পেতে যারা দাঁড়িয়ে আছে,
যারা প্রায় তোমার গায়ের উপরে এসে
নিশ্বাস ফেলছে,
মারের চোটে তাদের ষড়যন্ত্রকে এবারে তছনছ করে দাও।
বাপু হে,
আর অত ভয়ডর কোরো না।
দু’পা সামনে চলো,
জ্বলজ্বল করে জ্বলো।

১১ আশ্বিন, ১৩৭৭