ভয় করলেই ভয়

চলো, বেরিয়ে পড়ি।
আকাশ এখন ক্রমেই আরও রেগে যাচ্ছে।
যাক।
ভয় করলেই ভয়, নইলে কিছু না।
রাস্তাময়
ইঁটের টুকরো, বোতল-ভাঙা কাচের গুঁড়ো
ছড়িয়ে আছে। থাক্।

যার যা ইচ্ছে করুক।
ভয় করলেই ভয়, নইলে কিছু না।
একটু-আধটু রক্ত হয়তো ঝরতে পারে। ঝরুক।
ভয় করলেই ভয়, নইলে কিছু না।
চলো, বেরিয়ে পড়ি।

দেখো, ঠিক আমরা পৌঁছে যাব।
এসো, যাই।
ঘরের মধ্যে
হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে
কে কবে কোন্‌খানে গিয়ে পৌঁছতে পেরেছে?
চলো, বেরিয়ে পড়ি।

জানি, রাস্তা এখন ক্রমেই আরও তেতে উঠছে।
উঠুক।
ঘরই জ্বলে, রাস্তা কে আর জ্বালায়?
দেখতে পাচ্ছি,
ওদের চোখে বিন্দু বিন্দু রক্ত ফুটছে।
ফুটুক।
কাউকে একবার ঘুরে দাঁড়াতে দেখলেই ওরা পালায়।
ওদের মারমুখো ওই ভঙ্গিটা তো আর কিছু নয়,
লোক-দেখানো লোক-ঠকানো
ছলা।
চলো বেরিয়ে পড়ি।
ভয় করলেই ভয় করলেই ভয়, নইলে দেখো,
কিচ্ছু না, কাঁচকলা।

৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৭৭