কবিতার ছেলে

আমার দৃষ্টিতে নারী, এরকম একটি কবিতা আমি
বালিশের নিচে লিখে লুকিয়ে রেখেছি বহুদিন।

রাত্রি তাঁকে দুঃখ দিতো, দুঃখ তাঁকে সঙ্গ দিতো,
সঙ্গ দিতো সঙ্গম, সন্তান- এরকম একটি কবিতা
দুঃখসঙ্গসুখযুক্ত বিভিন্ন বিষয় এতে ছিল, তবে
কোনাে সেরকম বৈষণ্যের প্রধান্য ছিল না।

আত্মার আঁতুর ঘরে একদিন ছেলে হলো তার।
দেখতে ঘড়ির মতো, অবিকল যেরকম আমার ঘড়িটা
রেগে গেলে নারী দেখে ঢংঢং ক’রে বাজে, সেরকমই
জ্বলে তারও চোখ- “ক’টা বাজে ? কে তোমার বাবা?”

তুলোর বালিশ ছিঁড়ে জমের জন্মের জল ঝ’রে পড়ে,
কবিতার ছেলে কাঁদে… ঢংঢংঢং, টিক,টিক, টিক।