কবিতার নিজস্ব নিয়ম

আমি জানি না কী নিয়ম এতদিন প্রচলিত ছিল।
কবিতা লেখার আগে কার নাম উচ্চারিত হতো,
কবিদের অন্তঃপুর কার দিব্যমুখে হতো আলোকিত।
অনুভবে নেচে ওঠা কোন চিত্রে চোখ রেখে একে একে
জ্বলে উঠতো চাঁদ, উপমা, প্রবাদ কবিদের।

জানি না কী নিয়ম আজকাল প্রচলিত আছে।

কবিতা লেখার আগে যুদ্ধ মৃত্যু বেঁচে থাকা কিম্বা
বেঁচে থাকা-না-থাকার মধ্যে বেঁচে থেকে আমি শুধু
নারীকে সাজাই। ডাকি- ‘কাছে এসো, মুখচোখ
স্তনের মানুষ প্রিয়তমা, কাছে এসো, -এ আমার
কবিতার নিজস্ব নিয়ম। আমি এভাবেই ডাকি।
এসো প্রভু, এসো নারী, এসো প্রিয়তমা, এসো।

একটি রমণী আসে, সপ্তপ্রদীপ হাতে নৃত্য ক’রে আসে,
ঝুলন্ত দোলনায় ব’সে পায়ের পাতার মতো আমাকে
দোলায়। কিছুক্ষণ আলিঙ্গনে থেকে নদীর ভাঙন হয়ে
ঢুকে যায় যমুনার মতো তীব্র চুমুর ভিতরে- তারপর
একটি কবিতা লেখা হলে সেই নারী দ্রুত ফিরে যায়,
ইলেকট্রিক ফিরে এলে রেস্তোরাঁর অকর্মণ্য মোমের ছায়ায়।

আমি এভাবেই লিখি, এ আমার নিজস্ব নিয়ম, কবিতার।