করুণাকে

ভাগ্যিস, টুকু ব’লে তোমারও অন্য একটা ডাকনাম ছিল।
মসজিদে আজান শুনে এখনো সন্ধ্যায় তুমি যেই
ঘোমটা দিয়ে নতুন বধূর মতো দ্রুত হেঁটে যাও,
আমি তক্ষকের ডাকের আড়ালে ব’সে
তোমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে প্রাণভ’রে ডাকি
টুকু…টুকু…টুকু…।

আমার প্রেমের স্বর লুক্কায়িত, তক্ষকের চিৎকারের মতো
সীমাবদ্ধ, নিঃসঙ্গ গুহার দিকে মুখ।
তোমার গন্তব্যে ফিরো তুমি, নিতম্বের ভারে ক্লান্ত নম্র পদযুগ
রক্তে মাংসে অনিঃশেষ ছায়া ফেলে যায়।

তোমার আসল নাম করুণা হলেই ভালো হ’তো,
আমি চিৎকার ক’রে মুয়াজ্জিনের মতো ডাকতে পারতুম
করুণা, করুণা?

তুমিও করুণা ক’রে তাকাতে পেছনে হ’তে বধূ,
এ যেনো তক্ষক নয়, পরিচিত পরুষের ডাক
বারবার শোনা…করুণা…করুণা…