নৈশ প্রতিকৃতি

ঐ যে ছায়ার মতো একটি মানুষ পথ হাঁটে, তাকে চেনো?
হাজার বছর নয়, এ-শহরে একযুগ কেটেছে তাহার। তাকে চেনো?
ঐ যে ছায়ার মতো বাউলের অবিন্যস্ত চুল, পরম বন্ধুর মতো
দু’টি পা, দু’টি চোখে দুটি দ্বিধা, তাকে চেনো?
ঐ যে ছায়ার মতো একটি পুরুষ মধ্যরাতে, কাকভোরে, কবরের
পাশ দিয়ে প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে গ্রীণ লেনে ফেরে, তাকে চেনো?

ঐ যে উজ্জ্বল মূর্তি একটি যুবক কৃত্রিম প্রেমিক সেজে সারাদিন
নারী সঙ্গে চুর হয়ে থেকে রাত্রি এলে গণিকার স্তন্য চুষে খায়,
তাকে চেনো? ঐ যে ছ’ফুট দীর্ঘ সীমাহীন অসীম আগুন!

হাজার বছর নয়, এ-শহরে একযুগ কেটেছে তাহার। সম্প্রতি সে
তীব্রভাবে আসক্ত নেশায়। প্রভাতে প্রেমের যোগ্য, পূজার চন্দন,
কোমল কুমারী চোখ, সলজ্জ্ব রক্তিম নাকে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম,
দেখে ভুলে মনে হবে এ-কোনো ঋষির পুত্র, অসম্ভব নারীর প্রেমিক।

অথচ সূর্যের তাপে রক্তের বীর্য গ’লে গেলে পাকস্থলী নেচে ওঠে
গাঁজা, মদ, মোহের নেশায়, ড্রাগের ড্রাগণ যেন চেপে বসে ঘাড়ে।
ঘুঘুর চোখের মতো তার ক্লান্ত দু’টি চোখ লাল গোল বৃত্ত হ’য়ে যায়,
তাকে চেনো? মাতৃহীন যে যুবক রাত্রি এলে গণিকার স্তন্য চুষে খায়।

হাজার বছর নয়, এ-শহরে একযুগ কেটেছে তাহার।