অন্য পাঁচজন কী করতো সে আমার জানবার কথা নয়,
আমি যে চিৎকার করতাম সেটুকুই জানি।
আমার চিৎকার থেকে জলোচ্ছ্বাস হতো, ভূমিকম্প হতো,
পৃথিবীতে বিশ্বযুদ্ধ হতো, সেটুকুই জানি।
অন্য পাঁচজন কী করতো সে আমার জানবার কথা নয়,
আমি জানি আমার চিৎকারে জননীর রক্তে-মাংসে
হুলুস্থুল হতো। আমি জননীর স্ফীতোদরে ছিলাম অবৈধজাত
ভ্রুণলগ্ন সন্ত্রাসের মতো। অন্য পাঁচজন কোথায় ছিলেন,
কীভাবে ছিলেন, সে আমার জানবার কথা নয়।
মা আমাকে যতোবার ভ্রুণের ভিতরে হত্যা করতে
উদ্যত হয়েছেন, আমি ততোবার আমার আসন্ন হাতে
জননীর জরায়ুতে প্রাণপণ আঘাত করেছি, প্রতিবাদে
চিৎকার করেছি। আমি যে চিৎকার করতাম সেটুকুই জানি।
অন্য পাঁচজন কী করতো, সে আমার জানবার কথা নয়।
আমি আজো মৃত্যুভয়ে ভীত- যখনই জরায়ু দেখি
রক্তাপ্লুত গর্ভপাত মনে প’ড়ে যায়। আমি আজো জন্মলোভে
প্রাণভয়ে চিৎকার ক’রে উঠি- ‘সাবধান! আমি আসছি’।