কথোপকথন ১১

কোন কোন কবি এক লাইনেই অমর।
আর সে রকম পংক্তির জন্যে
একজন কবির কাছে পৃথিবী আজন্ম নতজানু।
দ্বিধা থরোথরো একটি কথার চূড়ায়
সাত-সাতটা অমরাবতীর সুখ
এই রকম পংক্তির জন্যে
হিংস্র ব্যাধ, অরণ্য চষে বেড়াই সারাবেলা।
অথচ সবই রয়ে যায় না-পৌঁছানোর দূরত্বে।

কাল যখন অভিমান মাখিয়ে বললে
শুভঙ্কর! আমি কি পুরোনো হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ?
তখন তো আমার গলায় ঝলসে ওঠার কথা
বাল্মীকির মন্ত্র।
অথচ ক্যাবলাকান্ত আমার উচ্চারণে
মিয়োনো মুড়ির সেঁতা শব্দে
কী প্রবল হয়ে উঠেছিল অক্ষমতা।

কালকের বাজে উত্তরটা
আজ নতুন করে লিখছি।
বলা বাহুল্য, র‌্যাঁবোর সৌজন্য।

কেন্দ্রে আছো, তোমাকেই
সৌররশ্মিরেখা আছে ঘিরে।
নন্দিনী পুরনো হলে
পাবে না শাশ্বতীরে।