কথোপকথন ৩০

দেবেশের পাল্লায় পড়ে
কদিন ধরে অষ্টপ্রহর শুধু
পিকাসো আর পিকাসো।
চাঁদিপুরে গেছি শুটিং-এ
পিকাসো,
রাত বারোটায় ঝাউবনের ঢলঢলে বিছানায়
হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির বলাৎকার
পিকাসো,
কলকাতায়
ইট-কাঠ সিমেন্ট সুরকি গিলে খাচ্ছে
বসন্তকালের ফুলদানি পিকাসো,
বিহারে
খরার ছাটে পুড়ছে হৃদয়ের দলিল-দস্তাবেজ
পিকাসো।
যখন পিকাসোকে হাতড়ে চলেছি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডময়
হঠাৎ ডোরা মার চলে এল কাছে।
পিকাসোর বুকে যখন
ছারখার গের্নিকার সমস্ত কান্না আর ধ্বংস

যখন সাতশো কামান
থরথর করছে পিকাসোর তুলির ডগায়
পিকাসোর রক্ত-দুন্দুভিকে ছুঁয়ে রয়েছে ডোরা মার।
পিকাসো
উদগীর্ণ আগ্নেয়গিরি হােক
অথবা মহাপ্লাবন;
পিকাসো
ক্রুদ্ধ দুর্বাশা হোক
অথবা কুরুক্ষেত্র;
উপঢৌকনে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে চলেছে ডোরা মার
প্রেরণা এবং প্রেম
বৃষ্টি এবং বসন্ত
গর্ভধারণের মাটি এবং বীজে।
বুক থেকে খরার আগুন নিভোতে নিভোতে
পরশু বিকেলে
অহংকারে টই-টম্বুর এক অপ্সরীকে
কী বলে ফেললাম জানিস?
তুমি হতে পার না আমার ডোরা মার?