কথোপকথন ৩৬

দুঃখগুলো পেকে ঝুনো নারকেল হয়েও খসে পড়ে না কেন রে?
অথচ সুখের বেলায় ঠিক উল্টোটা।
টুসটুসে হওয়ার আগেই অবেলার আঁকশিতে হ্যাঁচকা টান।
এখন আমাদের সেই বয়সে পা যখন নুডলস এর মতো
চিবিয়ে খাওয়ার জন্যে চিরুনিটার প্রত্যেকদিন
চাই এক গোছা করে চুল।
এমন কি বাতাসেরও ইচ্ছে নয়
আমাদের মাথায় দুলুক কোঁকড়া চুলের দেবদারু।
যেভাবে কালো রঙের টাকা,
সেই ভাবেই সব কিছুকে লুকিয়ে রাখতে হবে এখন।
জানাজানি হলেই রাহাজানি।
দেখছিস না দিনের আলোটা পর্যন্ত মাস্তানের চাকু।
আমিভাত, তোর কাছে গচ্ছিত রাখতে চাই
উড়ে-পুড়ে ভিখেরির সাত-সিকেয় এসে ঠেকেছে যা।
লিখে নে।
১৯-২-৮১ জল এবং গেলাসের প্রথম এক ঝলক দেখা।
৩-৩-৮১ জলের ভিতরে সমদ্রসুলভ অগ্নি-চুল্লির উন্মেষ।
১২-৪-৮১ গেলাসের গায়ে তাপমাত্রার ক্রমবিকাশ।
৮-৫-৮১ গেলাসের প্রার্থনা, জলের উত্তর।
২১-৬-৮১ থেকে ১-২-৮২ পর্যন্ত জল ও গেলাসের আন্তরিক উর্বরতায়
হাজার মাইল তৃণভূমির উপরে মেঘমণ্ডলের উপর্যুপরি পুষ্পবৃষ্টি
আর অভ্রখনিময় এক নতুন উপনিবেশের সম্ভাবনা।
২৬-৩-৮২ থেকে গেলাসের গায়ে ঈষৎ ফাটল।
১১-৪-৮২ থেকে গেলাসটা, যদি তার ফাটলগুলোকে বলি ঠোঁট,
তাহলে আড়াই লক্ষ ঠোঁট নিয়ে গড়িয়ে চলেছে
দিকচিহ্নহীন অনন্ত সায়রের দিকে। আর জল জলচৌকিতে
পা ছড়িয়ে তাকে ডেকে চলেছে, এই তো আমি,
ছুঁচ আর রক্তসুতোয় তোমারই জন্যে বুনে চলেছি শ্বেতমল্লিকার বন।