এর মধ্যে মীরা মুখার্জীর বাড়িতে একদিন।
বাড়ি তো নয়, ব্রহ্মাণ্ড।
ইচ্ছের দগদগে আগুনে পুড়িয়ে ধাতুর ব্রহ্মাণ্ড।
জলের লতানো নকশায় আঁকাবাকা মানুষ, মাছ, মাছ ধরার নৌকা
সাঁই সাঁই বাতাস, গুমরোনো মেঘ, লণ্ঠনহীন অন্ধকার
উথাল-পাথাল নিরাশার ভিতরে জীবনযাপনের যুদ্ধ
ওদিকে নভোমণ্ডল, নক্ষত্র-সভার মণি-মুক্তা বিছোনো আকাশ
যেন পৃথিবীর মহাসংগীতের সামিয়ানা।
ঘুড়ি উড়ছে, ঘুড়ির সঙ্গে মানুষের সুখ স্বপ্ন
মানুষের চেয়ে ঘুড়িগুলোই বড়,
অর্থাৎ মানুষের চেয়ে বড় মানুষের স্বপ্ন-সদিচ্ছাগুলো।
কান্না, কষ্ট আর সর্বস্ব-হারানো আর্তনাদেরা
মানুষের চেহারায় এক বুক বন্যা পেরিয়ে, গায়ে গা, পাঁজরায় পাঁজর
একশো জনে মিলে একটা গোটা মানুষ।
ছড়ানো-ছিটোনো এমন সব মুখ, যা পোকায় কাটা
এমন সব মুখ, যা রক্তাক্ত প্রদীপের শিখা
এমন সব মুখ, যা খুলে দেয় বাগানের দরজা
এমন সব মুখ, যাকে চুম্বন কলে মানুষ হয়ে যাবে
আরেক আভার পৃথিবী।