অচিন্ত্য এ ব্রহ্মান্ডের লোক-লোকান্তরে

অচিন্ত্য এ ব্রহ্মান্ডের লোক-লোকান্তরে
অনন্ত শাসন যাঁর চিরকালতরে
প্রত্যেক অণুর মাঝে হতেছে প্রকাশ,
যুগে যুগে মানবের মহা-ইতিহাস
বহিয়া চলেছে সদা ধরণীর ‘পর
যাঁর তর্জনীর ছায়া, সেই মহেশ্বর
আমার চৈতন্য-মাঝে প্রত্যেক পলকে
করিছেন অধিষ্ঠান- তাঁহারি আলোকে
চক্ষু মোর দৃষ্টিদীপ্ত, তাঁহারি পরশে
অঙ্গ মোর স্পর্শময় প্রাণের হরষে।

যেথা চলি, যেথা রহি, যেথা বাস করি,
প্রত্যেক নিশ্বাসে মোর এই কথা স্মরি-
আপন-মস্তক-‘পরে সর্বদা সর্বথা
বহিব তাঁহার গর্ব, নিজের নম্রতা।

৭৬