আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি

(আমি) শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
মম জল-ছলোছলো আঁখি মেঘে মেঘে।।
(আমার বেদনা ব্যাপিয়া যায় গো বেণুবনমর্মরে মর্মরে।।)
বিরহদিগন্ত পারায়ে সারারাতি
অনিমেষে আছে জেগে মেঘে মেঘে।।
(বিরহের পরপারে খুঁজিছে আকুল আঁখি
মিলনপ্রতিমাখানি- খুঁজিছে।)
যে গিয়েছে দেখার বাহিরে
আছে তারি উদ্দেশে চাহি রে।
(সে যে চোখে মোর জল রেখে গেছে চোখের সীমানা পারায়ে।)
স্বপ্নে উড়িছে তারি কেশরাশি
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে।।
(কেশের পরশ তার পাই রে
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে।)
শ্যামল তমালবনে
যে পথে সে চলে গিয়েছিল বিদায়গোধুলিখনে
বেদনা জড়ায়ে আছে তারি ঘাসে-
(তার না-বলা কথার বেদনা বাজে গো-
চলার পথে পথে বাজে গো।)
কাঁপে নিশ্বাসে-
সেই বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া
ছায়ায় রয়েছে লেগে মেঘে মেঘে।।

এই গানের সাথে ৪৬৭ পৃষ্ঠার গানের সাদৃশ্য থাকলেও বাক্য বিন্যাসে ভিন্নতা রয়েছে।।