বরযাত্রা

পবন দিগন্তের দুয়ার নাড়ে,
চকিত অরণ্যের সুপ্তি কাড়ে।
যেন কোন্ দুর্দ্দম
বিপুল বিহঙ্গম
গগনে মুহুর্মুহু পক্ষ ঝাড়ে।।

পথপাশে মল্লিকা দাঁড়ালো আসি’,
বাতাসে সুগন্ধের বাজালো বাঁশি।
ধরার স্বয়ম্বরে
উদার আড়ম্বরে
আসে বর, অম্বরে ছড়ায়ে হাসি।।

অশোক রোমাঞ্চিত মঞ্জরিয়া
দিল তা’র সঞ্চয় অঞ্জলিয়া।
মধুকর-গুঞ্জিত
কিশলয়-পুঞ্জিত
উঠিল বনাঞ্চল চঞ্চলিয়া।।

কিংশুক-কুঙ্কুমে বসিল সেজে,
ধরণীর কিঙ্কিণী উঠিল বেজে।
ইঙ্গিতে সঙ্গীতে
নৃত্যের ভঙ্গীতে
নিখিল তরঙ্গিত উৎসবে-যে।।

দোল পূর্ণিমা, ১৩৩৪