দ্বিধা

বাহিরে যার বেশভূষার ছিল না প্রয়োজন,
হৃদয়তলে আছিল যার বাস,
পরের দ্বারে পাঠাতে তারে দ্বিধায় ভরে মন
কিছুতে হায় পায় না আশ্বাস।
সবুজ বনে নীল গগনে
মিশায় রূপ সবার সনে,
পাখির গানে পরায় যারে সাজ,
ছিন্ন হ’য়ে সে ফুল একা
আকাশহারা দিবে কি দেখা
পাথরে গাঁথা প্রাচীর মাঝে আজ।

চন্দনের গন্ধজলে মুছালো মুখখানি,
নয়নপাতে কাজল দিল আঁকি’।
ওষ্ঠাধরে যতনে দিল রক্তরেখা টানি’
কবরী দিল করবীমালে ঢাকি’।
ভূষণ যত পরালো দেহে
তাহারি সাথে ব্যাকুল স্নেহে
মিলিল দ্বিধা, মিলিল কত ভয়।
প্রাণে যে ছিল সুপরিচিত
তাহারে নিয়ে ব্যাকুল চিত
রচনা করে চোখের পরিচয়।।

১৩ মাঘ, ১৩৩৮