হাসিরাশি

তার নাম রেখেছি বাব্লা রাণী,
একরত্তি মেয়ে।
হাসিখুসি চাঁদের আলো
মুখটি আছে ছেয়ে।
ফুটফুটে তার দাত ক’খানি
পুট্পুটে তার ঠোঁট্।
মুখের মধ্যে কথাগুলি সব্
উলোট পালোট।
কচি কচি হাত দুখানি,
কচি কচি মুঠি,
মুখ্নেড়ে কেউ কথা ক’লে
হেসেই কুটি কুটি।
তাই তাই তাই তালি দিয়ে
দুলে দুলে নড়ে,
চুলগুলি সব কালো কাৱে
মুখে এসে পড়ে।
“চলি- চলি- পা- পা- ”
টলি টলি যায়,
গরবিণী হেঁসে হেসে
আড়ে আড়ে চায়।
হাতটি তুলে চুড়ি দু-গাছি
দেখায় যাকে তাকে,
হাসির সঙ্গে নেচে নেচে
নোলক দোলে নাকে।
রাঙা দুটি ঠোটের কাছে
মুক্ত’ আছে ফোলে’,
মায়ের চুমোখানি যেন
মুক্ত’ হয়ে দোলে!
আকাশেতে চাঁদ দেখেছে
দুহাত তুলে চায়,
মায়ের কোলে দুলে দুলে
ডাকে আয় আয়।
চাঁদের জাখি জুড়িয়ে গেল
তার মুখেতে চেয়ে,
চাঁদ ভাবে কোখেকে এল
চাঁদের মত মেয়ে!
কচি প্রাণে হাসিখানি
চাঁদের পানে ছোটে,
চাঁদের মুখের হাসি, আরো
বেশী ফুটে ওঠে।
এমন সাধের ডাক শুনে চাঁদ
কেমন ক’রে আছে,
তারাগুলি ফেলে বুঝি
নেমে আসবে কাছে।
মুধ মুখের হাসিখানি
চুরি করে নিয়ে,
রাতারাতি পালিয়ে যাবে
মেঘের আড়াল দিয়ে।
আমরা তারে রাখব ধরে
রাণীর পাশেতে।
হাসি রাশি বাঁধা ররে
হাসি রাশিতে।